লেবাননে বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। সর্বশেষ হামলায় আরও ৭২ জন লেবানিজ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪০০ মানুষ। এনিয়ে গত কয়েকদিনে লেবাননে ইসরাইলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ছয়শ’ ছাড়ালো। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

এই পরিস্থিতিতে লেবাননে সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো। ইসরাইলি বাহিনী ও লেবাননের সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধার দল হিজবুল্লাহর মধ্যকার যুদ্ধ তীব্র আকার ধারণ করায় এই আহ্বান জানিয়েছে এসব দেশ।

এক প্রতিবেদনে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, লেবাননে অব্যাহত বিমান হামলার পাশাপাশি এবার স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল। এরই মধ্যে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আরও সেনা সমাবেশ ঘটানো হয়েছে। স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি হিসেবে সামরিক বাহিনী একটি মহড়াও শুরু করেছে। চলমান মহড়া পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, সম্প্রতি গাজা উপত্যকা থেকে লেবানন সীমান্ত স্থানান্তর করা ‘সাঁজোয়া বহরের যোদ্ধা ও প্যারাট্রুপারদের’ সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি।

লেবাননের স্থল হামলার বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে দেশটির সামরিক প্রধান হারজি হালেভি। আল জাজিরা বলছে, গত সোমবার থেকে লোবনেন নাটকীয়ভাবে বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। বৃহস্পতিবার তৃতীয়দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে মারাত্মক বিমান হামলা। এর মধ্যেই বুধবার উত্তর ইসরাইলে সৈন্যদের উদ্দেশ্যে সামরিক প্রধান হারজি হালেভি বলেছেন, সর্বশেষ এই বিমান হামলার লক্ষ্য হচ্ছে “লেবানননে আপনাদের সম্ভাব্য প্রবেশের জন্য স্থল প্রস্তুত করা”।